ভুল স্বীকারের পরও 'রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস' মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন করেনি কেন?
নিউজ ডেস্ক || দিন বদল বাংলাদেশ
সূচকের গুরুত্বপূর্ণ এক জায়গায় ছয়জন সাংবাদিক আটক করার কথা বলা হয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় পুরোটাই ভুল। তারা কেউই জেলে নেই। তথ্যের ভুল ধরিয়ে চিঠি দেয়ার পর তারা সেটা গ্রহণ করে। কিন্তু ভুল তথ্য সরিয়ে ফেললেও র্যাংকিংয়ে পূণর্মূল্যায়ন করেনি সংস্থাটি। ভুল স্বীকারের পরেও পূণর্মূল্যায়ন না হওয়ায় সূচক ও র্যাংকিংয়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে সূচক প্রকাশ করে ফ্রান্সভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস-আরএসএফ। প্রতি বছরের মতো এবারও ৩ এপ্রিল মুক্ত গণমাধ্যম সূচক প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রকাশিত সূচকে গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এটি ভুলে ভরা ও অবাস্তব বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
তিনি জানান, সূচকের গুরুত্বপূর্ণ এক জায়গায় ছয়জন সাংবাদিক আটক করার কথা বলা হয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় পুরোটাই ভুল। তারা কেউই জেলে নেই। তথ্যের ভুল ধরিয়ে চিঠি দেয়ার পর তারা সেটা গ্রহণ করে। কিন্তু ভুল তথ্য সরিয়ে ফেললেও র্যাংকিংয়ে পূণর্মূল্যায়ন করেনি সংস্থাটি। ভুল স্বীকারের পরেও পূণর্মূল্যায়ন না হওয়ায় সূচক ও র্যাংকিংয়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার প্রতিবেদনে এমন ভুল, অর্ধসত্য ও অপর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে সূচক তৈরি খুবই দুঃখজনক। ভুলের ওপর ভিত্তি করে মুক্ত গণমাধ্যমে কোন দেশ কততম তার র্যাংকিং তৈরি করা কোনো যৌক্তিকতা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের পরও সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন না করায় আরএসএফের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ।
এতেই প্রতীয়মান হয় সংস্থাটি কোনো একটি বিশেষ গোষ্ঠী বা দেশের স্বার্থ উদ্ধারেই কাজ করে। এমন ভিত্তিহীন সূচক দেশের গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশ, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার বড় অন্তরায়। এছাড়া উন্মক্ত সাংবাদিকতায় সরকারের অব্যাহত উদ্যোগকে অস্বীকার করা হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
দিনবদলবিডি/Hossain